প্রশ্নঃ সাজারা শরীফ কবরে নেওয়া জায়েজ কি-না? যদি কবরে দেওয়া দুরস্ত হয়, তার নিয়ম কি?
উত্তরঃ
সাজারা
শরীফ মুরীদের জন্য আল্লাহ তায়ার একটি অশেষ দান। যারা ইহা পাঠ করে উছিলা
স্বরুপ প্রার্থনা করবে, তারা আল্লাহ তায়ালার অশেষ রহমত ও করম হতে বন্ঞ্চিত
হবে না। ইহা সযত্নে রেখে যে কবরে নিয়ে যেতে পারবে স দুনিয়া ও আখেরাতের
বিপদাপন হতে মুক্তি লাভ করতে পারবে।
ফতোয়ায়ে আজিজিয়া-১৭৪ নং পৃষ্ঠায় প্রথম খন্ডে বর্ণিত আছেঃ
মিশকাত শরীফে আছেঃ
---------------------
হযরত
জাবের(রাঃ) থেকে বর্ণিত-যে হুজুর (সাঃ) আবদুল্লাহ ইবনে উব্বীর কবরে তশরীফ
নিয়ে যান, যে মুহুর্তে তাকে কবরে রাখা হচ্ছিল। নবী করিম (সাঃ) তাঁকে বের
করলেন। তাঁর মুখে থু থু ফেললেন এবং নিজের পবিত্র জামা তাকে পড়িয়ে দিলেন।
বোখারী শরীফে বর্ণিত আছেঃ
--------------------------
একদিন
হুজুর (সাঃ) তোহবন্দ গায়ে দিয়ে বাহিরে তশরীফ অানলেন। একজন লোক হুজুর (সাঃ)
থেকে সেই তোহবন্দটি চেয়ে নিলেন। তখন সাহাবাগণ তাকে জিগ্যাসা করলেন, আপনি
কেন হুজুরের(সাঃ) এর তোহবন্দটি চেয়ে নিলেন? উত্তরে তিনি বললেনঃ খোদার কসম!
অামি এটা পরিধানের জন্য নেইনি। আমি নিয়েছি এটা আমার কাফনের জন্য। হযরত সাহল
(রাঃ) বলেছেনঃ যে ওটা ঠিকই তার কাফন হয়েছিল।
হযরত
আবু নয়ীম (রাঃ) মারেফাতুস সাহাবা নামক গ্রন্থে এবং হযরত দায়লামী (রাঃ) তার
মসনদুল ফেরদাউসে হযরত হাসান আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রাঃ) এর বরাত দিয়ে
বর্ণনা করেছেনঃ যে ছৈয়্যাদেনা হযরত আলী (অাঃ) এর মাতা ছাহেবানী ফাতেমা
বিনতে আসাদকে হুজুর (সাঃ) এর স্বীয় জামা দিয়ে কাফন দিয়েছেন। কিছু সময় তার
কবরে হুজুর (সাঃ) নিজে শুয়ে ছিলেন। অতঃপর তাকে দাফন করা হয়। সাহাবাগণ এর
কারণ এবং রহস্য জানতে চাইলে হুজুর (সাঃ) ফরমাইলেনঃ জামা এই জন্য পড়িয়েছি
যেন সে বেহেশতের পোষাক পায়। করবে এইজন্য শুয়েছি যেন তার কবরের সংকীর্ণতা
দুরীভুত হয়।
হযরত ইবনে আবদুল লবির কিতাবুল ইতেয়ার ফি মারফাতিল আসহবা গ্রন্থে উল্লেখ করেছেনঃ যে হযরত আমীর মোয়াবিয়া (রাঃ) মৃত্যুর আগে ওছিয়ত করেছেন, যে হুজুর (সাঃ) তার
একটি জামা আমাকে দান করেছেন। এ জামাটা আমি এই জন্য রেখেছি যে, এই পবিত্র
জামাটা যেন আমার কাফনের নীচে দেওয়া হয়। হুজুর (সাঃ) এর কিছু পবিত্র চুল ও
নখ আমার কাছে আছে। ঐগুলি যেন আমার মুখে ও চোখের উপর রাখা হয়।
হযরত হাকিম (রাঃ) মুসতা দারক গ্রন্থে হযরত হামিদ ইবনে আবদুর রহমান রওসামী (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেছেন
যে হযরত আলী (আঃ) এর কাছে কিছু মেশক আতর ছিল। তিনি অছিয়ত করেছেন যে আমার
মৃত্যুর কাফনে এর থেকে সুগন্ধী দিবে। কারণ এই মিশক আতর হুজুর(সাঃ)
অবশিষ্টাংশ।
অাপনারা
হাছিস শরীফ দ্বারা প্রমাণ পেলেন যে,
কবরে নবী (সাঃ) এর চুল ও নখ, তোহবন্ধ জামা, থু থু মোবারক, মেশক আতর এবং আহাদনামা লিখে দেয়া যায়। তবে আমাদের প্রশ্নঃ শাজারা শরীফ কেন দেয়া যাবে না? সাজারা শরীফ কবরে দেয়া হাদিস শরীফ ও কিতাব অনুযায়ী প্রমান দেয়া হলো - এটা জায়েজ।
কবরে নবী (সাঃ) এর চুল ও নখ, তোহবন্ধ জামা, থু থু মোবারক, মেশক আতর এবং আহাদনামা লিখে দেয়া যায়। তবে আমাদের প্রশ্নঃ শাজারা শরীফ কেন দেয়া যাবে না? সাজারা শরীফ কবরে দেয়া হাদিস শরীফ ও কিতাব অনুযায়ী প্রমান দেয়া হলো - এটা জায়েজ।
অতএব তরীকা গ্রহণকারীদের উচিত সর্বদা শাজারা শরীফ তেলাওয়াত পুর্বক সযত্নে রাখা ও কাফনে করে কবরে নিয়ে যাওয়া।
উপরি উক্ত বিষয়সমুহ ছাড়াও আরো কিছু দলিলাদি পেশ করা হলোঃ-
ছিয়ারুল আকতাব কিতাবের ১০৩ পৃষ্ঠায় বর্ণিত আছেঃ
একদিন হযরত ইমামুল আউলিয়া হযরত খাজা গরীব নেওয়াজ মঈনউদ্দিন চিশতী (রঃ) কা'বার হেরেম শরীফে ধ্যানস্থ হলেন। এলহাম (দৈববাণী) হলোঃ হে মঈনউদ্দিন, আমি তোমার উপর সন্ত্তুষ্ট হয়েছি এবং তোমাকে ক্ষমা করলাম। যা ইচ্ছা হয় চাও। আমি তোমাকে প্রদান করবো। হযরত খাজা (রঃ) আরজ করলেন, "এলাহি, মঈনউদ্দিনের সাজারাভুক্ত মুরীদগণের মুরিদগণকে ক্ষমা কর।"
আল্লাহ তায়ালার হুকুম হলোঃ "হে মঈনউদ্দিন তুমি আমার, তোমার মুরিদের মুরিদ কেয়ামত পর্যন্ত যারা তোমার সাজারাভুক্ত হবে আমি ক্ষমা করবো।"
হযরত খাজা গরীব নেওয়াজ (রাঃ) প্রায়ই বলতেনঃ আমার মুরিদ ও আমার মুরিদগণের মুরিদ যারা কেয়ামত পর্যন্ত আমার সাজারাভুর্ক্ত হবে, উহাদিগকে না নিয়ে মঈন উদ্দিন কখনও বেহেশতে পা রাখবে না।
ছিয়ারুল আকতাব কিতাবের ১৭৫ পৃষ্ঠায় বর্ণিত আছেঃ
একদিন হযরত শায়খুল ইসলাম জাকারিয়া(রঃ) নিকট গায়েবী সুসংবাদ আসলো যে, "অদ্য তোমাকে যে কেহ দর্শন করবে, তার প্রতি দোযখের আগুন হারাম হয়ে যাবে।"
হযরত স্বীয় অন্তরে ভাবলেন, "এই সংবাদ সমস্ত লোকে কেমন করে পাবে?" এত লোক আমার এই ক্ষুদ্র গৃহে কিরুপে জায়গা হবে? তারচেয়ে আমি একটি ঘোড়ার গাড়ীতে সোয়ার হয়ে সমগ্র বাজার ও গলিতে ভ্রমণ করলে সকলে আমাকে দেখতে পাবে। ইহাই উত্তম হবে। অতঃপর গাড়ীতে সোয়ার হয়ে শহরে প্রবেশ করলেন।
মিয়া ভুঁরা নামে একজন লোক হযরত খাজা কোতবোল কামেলীন শায়েখ ফরিদউদ্দিন শাকারগন্ঞ্জ(রঃ) সাহেবের গোলাম ও খাদেম ছিলেন। তিনি গলিতে দাঁড়ানো অবস্থায় জন রব ও কোলাহল শুনে কিসের জন রব ও কোলাহল জিগ্যাসা করলে প্রত্যুত্তরে বলা হলোঃ "আজ হযরত শায়েখ জাকারিয়া (রঃ) প্রতি আদেশ হয়েছে, আজ তাকে যে দেখবে, তার প্রতি দোযখের আগুন হারাম হবে।" তিনি গাড়ীতে সোয়ার হয়ে আসতেছেন। সর্ব সাধারণ একত্রিত হয়ে দেখছেন। গাড়ী নিকটবর্তী হলে মিয়া ভুঁরা সেই দিকে পৃষ্ঠ প্রদর্শন পুর্বক দাঁড়িয়ে রইলেন এবং বললেনঃ
শায়েখ ফরিদউদ্দিন শাকারগন্ঞ্জ(রঃ) এর পাদুকা বহন করে যদি দোজখের আগুন হারাম না হয়, তবে হযরত শায়েখ জাকারিয়া(রঃ)-কে না দেখে দোযখে যাওয়া ভাল। যখন সেই পরম ভক্ত হযরত শাকারগন্ঞ্জ (রঃ) সাহেবের নিকট উপস্থিত হলেন, তখন হযরত বললেনঃ
মিয়া ভুঁরা, তুমি কোথায় ছিলে ও কি দেখলে?
মিয়া ভুঁরা প্রকৃত ঘটনা আরজ করলে হযরত বললেনঃ
এই অবস্থায় তুমি কি করলে?
উত্তরে বললেনঃ হযরতের অজানা কিছুই নেই।
হযরত বললেনঃ প্রকাশ করে বল।
আদেশ পেয়ে যাবতীয় ঘটনা বর্ণনা করলে হযরতের ভাবাপন্ন অবস্থার উদ্রেক হলে হযরত সংজ্ঞালুপ্ত হলেন। অতঃপর সংজ্ঞা প্রাপ্ত হয়ে বললেনঃ
"এখনই আল্লাহতায়ালা আমার সাথে ওয়াদা করেছেন, আমার মুরীদ ও আমার মুরীদগণের মুরীদ কেয়ামত পর্যন্ত যারা আমার সাজারাভুক্ত হবে, দোযখের আগুন তাদের জন্য হারাম হবে।" (ছোবাহান আল্লাহ)
উপরি উক্ত বিষয়সমুহ ছাড়াও আরো কিছু দলিলাদি পেশ করা হলোঃ-
ছিয়ারুল আকতাব কিতাবের ১০৩ পৃষ্ঠায় বর্ণিত আছেঃ
একদিন হযরত ইমামুল আউলিয়া হযরত খাজা গরীব নেওয়াজ মঈনউদ্দিন চিশতী (রঃ) কা'বার হেরেম শরীফে ধ্যানস্থ হলেন। এলহাম (দৈববাণী) হলোঃ হে মঈনউদ্দিন, আমি তোমার উপর সন্ত্তুষ্ট হয়েছি এবং তোমাকে ক্ষমা করলাম। যা ইচ্ছা হয় চাও। আমি তোমাকে প্রদান করবো। হযরত খাজা (রঃ) আরজ করলেন, "এলাহি, মঈনউদ্দিনের সাজারাভুক্ত মুরীদগণের মুরিদগণকে ক্ষমা কর।"
আল্লাহ তায়ালার হুকুম হলোঃ "হে মঈনউদ্দিন তুমি আমার, তোমার মুরিদের মুরিদ কেয়ামত পর্যন্ত যারা তোমার সাজারাভুক্ত হবে আমি ক্ষমা করবো।"
হযরত খাজা গরীব নেওয়াজ (রাঃ) প্রায়ই বলতেনঃ আমার মুরিদ ও আমার মুরিদগণের মুরিদ যারা কেয়ামত পর্যন্ত আমার সাজারাভুর্ক্ত হবে, উহাদিগকে না নিয়ে মঈন উদ্দিন কখনও বেহেশতে পা রাখবে না।
ছিয়ারুল আকতাব কিতাবের ১৭৫ পৃষ্ঠায় বর্ণিত আছেঃ
একদিন হযরত শায়খুল ইসলাম জাকারিয়া(রঃ) নিকট গায়েবী সুসংবাদ আসলো যে, "অদ্য তোমাকে যে কেহ দর্শন করবে, তার প্রতি দোযখের আগুন হারাম হয়ে যাবে।"
হযরত স্বীয় অন্তরে ভাবলেন, "এই সংবাদ সমস্ত লোকে কেমন করে পাবে?" এত লোক আমার এই ক্ষুদ্র গৃহে কিরুপে জায়গা হবে? তারচেয়ে আমি একটি ঘোড়ার গাড়ীতে সোয়ার হয়ে সমগ্র বাজার ও গলিতে ভ্রমণ করলে সকলে আমাকে দেখতে পাবে। ইহাই উত্তম হবে। অতঃপর গাড়ীতে সোয়ার হয়ে শহরে প্রবেশ করলেন।
মিয়া ভুঁরা নামে একজন লোক হযরত খাজা কোতবোল কামেলীন শায়েখ ফরিদউদ্দিন শাকারগন্ঞ্জ(রঃ) সাহেবের গোলাম ও খাদেম ছিলেন। তিনি গলিতে দাঁড়ানো অবস্থায় জন রব ও কোলাহল শুনে কিসের জন রব ও কোলাহল জিগ্যাসা করলে প্রত্যুত্তরে বলা হলোঃ "আজ হযরত শায়েখ জাকারিয়া (রঃ) প্রতি আদেশ হয়েছে, আজ তাকে যে দেখবে, তার প্রতি দোযখের আগুন হারাম হবে।" তিনি গাড়ীতে সোয়ার হয়ে আসতেছেন। সর্ব সাধারণ একত্রিত হয়ে দেখছেন। গাড়ী নিকটবর্তী হলে মিয়া ভুঁরা সেই দিকে পৃষ্ঠ প্রদর্শন পুর্বক দাঁড়িয়ে রইলেন এবং বললেনঃ
শায়েখ ফরিদউদ্দিন শাকারগন্ঞ্জ(রঃ) এর পাদুকা বহন করে যদি দোজখের আগুন হারাম না হয়, তবে হযরত শায়েখ জাকারিয়া(রঃ)-কে না দেখে দোযখে যাওয়া ভাল। যখন সেই পরম ভক্ত হযরত শাকারগন্ঞ্জ (রঃ) সাহেবের নিকট উপস্থিত হলেন, তখন হযরত বললেনঃ
মিয়া ভুঁরা, তুমি কোথায় ছিলে ও কি দেখলে?
মিয়া ভুঁরা প্রকৃত ঘটনা আরজ করলে হযরত বললেনঃ
এই অবস্থায় তুমি কি করলে?
উত্তরে বললেনঃ হযরতের অজানা কিছুই নেই।
হযরত বললেনঃ প্রকাশ করে বল।
আদেশ পেয়ে যাবতীয় ঘটনা বর্ণনা করলে হযরতের ভাবাপন্ন অবস্থার উদ্রেক হলে হযরত সংজ্ঞালুপ্ত হলেন। অতঃপর সংজ্ঞা প্রাপ্ত হয়ে বললেনঃ
"এখনই আল্লাহতায়ালা আমার সাথে ওয়াদা করেছেন, আমার মুরীদ ও আমার মুরীদগণের মুরীদ কেয়ামত পর্যন্ত যারা আমার সাজারাভুক্ত হবে, দোযখের আগুন তাদের জন্য হারাম হবে।" (ছোবাহান আল্লাহ)
ফতোয়ায়ে আজিজিয়া-১৭৪ নং পৃষ্ঠায় প্রথম খন্ডে বর্ণিত আছেঃ
সাজারা শরীফ কবরে দেওয়া বোজর্গানেদীনের সাধারণ নিয়ম। সাজারা শরীফ কবরে দেওয়ার দুইটি নিয়ম আছে।
প্রথম নিয়মঃ মৃত ব্যক্তির বক্ষের উপর কাফনের ভিতর কিংবা বাহিরে সাজারা শরীফ দেওয়া যাবে। আমাদের বোর্জগানেদীনের মধ্যে এই নিয়ম প্রচলিত আছে।
দ্বিতীয় নিয়মঃ মৃত ব্যক্তির শিরের নিকট কবরের পার্শ্বে একটি ছোট তাকের মধ্যে সাজারা শরীফ রাখবে।
অতএব,
তরীকা গ্রহণকারীদের উচিত সর্বদা সাজারা শরীফ তেলাওয়াত পুর্বক সযতনে রাখা ও
কাফনে করে কবরে নিয়ে যাওয়া। অর্থাৎ সাজারা শরীফ দিয়ে দেওয়া।
প্রশ্নঃ পীরের ওছিলা দিয়ে আল্লাহর নিকট দোয়া করা জায়েজ কি-না?
উত্তরঃ পীরের ওছিলা দিয়ে আল্লাহর নিকট দোয়া করা জায়েজ। কারণ বোখারী শরীফে লিখিত আছেঃ "হযরত ওমর (রাঃ) বলেছেন, যখন দুর্ভিক্ষ হতো তখন আমরা রাসুল (সাঃ) এর ওছিলা দিয়ে আল্লাহর নিকট দোয়া করতাম। হুজুর (সাঃ) এর ইন্তেকালের পর আমরা হুজুর (সাঃ) এর চাচা আব্বাস (রাঃ) এর ওছিলা দিয়ে দোয়া করতাম।"
হাদিছ শরীফে আছেঃ রাসুলুল্লাহ (সাঃ) দুর্বল অসহায় মুহাজেরগণের ওছিলা দিয়ে কাফেরদের বিরুদ্ধে জেহাদে বিজয়ের প্রার্থনা করতেন।
বোখারী ও নেছায়ী হাদীস শরীফে আছেঃ
রাসুল (সাঃ) বলেছেন, "আল্লাহর সাহায্য যা এই জগতের জন্য হয়ে থাকে, তা গরীবদের দোয়া ও এহসানের ওছিলায় হয়ে থাকে।"
রাসুল (সাঃ) বলেছেন, "আল্লাহর সাহায্য যা এই জগতের জন্য হয়ে থাকে, তা গরীবদের দোয়া ও এহসানের ওছিলায় হয়ে থাকে।"
রেওয়াত আছেঃ ইমাম শায়েফী (রাঃ), ইমাম আবু হানিফা (রাঃ) এর কবরের নিকট যেয়ে বরকতের জন্য তার ওছিলা দিয়ে দোয়া করতেন। কারণ, একটি বাতি জ্বালাতে হলে অন্য একটি বাতির প্রয়োজন হয় বা অন্য কোথাও হতে সংগ্রহ করতে হয়। ঠিক তদ্রুপ, মুরীদদের অন্ধকার কলবকে নুরের আলোকে আলোকিত করতে হলে পীরে কামেলের কলব হতে উহা সংগ্রহ করতে হবে। এই জন্য মাওলানা জালালউদ্দিন রুমী(রঃ) বলেছেনঃ
"কোনবীয়ে ওয়াক্ত খেশাস্ত আই মুরীদ
তাকে নুরে নবী আমাম পদীদ।।"
অর্থঃ হে মুরিদ, তুমি তোমার জামানার পীরকে জামানার নবী মনে কর। কারণ, নবীর নুর ঐ পীরের ওছিলায় চলে আসছে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন