অাপনারা মক্কা ও মদীনা শরীফের ছবি আঁকা জায়নামাযে নামায পড়েন ভালো কথা। কিন্ত্তু দুঃখের বিষয় যে অনেক মুসল্লী ও ইমাম সাহেব ও ভাই-বোনেরা নামাযের পর উক্ত জায়নামাযের ছবিদ্বয়ের উপরে বসে বা পা রেখে ওয়াজ মাহফিল, মিলাদ মাহফিল ও তাসবিহ পাঠ করেন। এতে উক্ত ছবিদ্বয়ের বেইজ্জতি বা অবমাননা করা হয়। অনেকেই হয়তো অজ্ঞতাবশতঃ এটা করে থাকেন। তাই এখন থেকে তাদের হুশিয়ার হওয়া দরকার। কারণ, উক্ত ছবিদ্বয় শুধুমাত্র ছবি মনে করা বিরাট ঘৃণিত ও নিন্দনীয় কাজ। কারণ এর একটা হলো আল্লাহর ঘর ও নবী করীম (সাঃ) এর রওজা মোবারক। আল্লাহর ঘর ও নবী করিম (সাঃ) এর রওজা মোবারকে পা দিয়ে কেউ পারা দিলে সাধারণ জ্ঞানেও তা দোষণীয় বলে মনে হয়। অনেক সময় দেখা যায় যে, ঈদের নামাযের সময় মসজিদের জন্য ও ইমাম সাহেবের জন্য টাকা উঠানো হয়। ঐ সময়ও উক্ত জায় নামাযের উপর দিয়া হাটাহাটি করে টাকা পয়সা উঠানো হয়। ইহাও অবমাননাকর।
অতএব, সকলের প্রতি আমার বিশেষ অনুরোধ যাতে আল্লাহর ঘর ও মদিনা শরীফের সম্মান রক্ষা হয় সেইদিকে সকলে লক্ষ্য রাখিবেন।
আরো একটি বিষয়ের প্রতি সকলের দৃষ্টি অাকর্ষণ করছি। বিয়ে, শবে বরাত বা ঈদে বা অন্য কোন ভাল অনুষ্ঠানের সময় মেহেন্দী ব্যবহার করেন। ভালো কথা। কিন্ত্তু দুঃখের বিষয় হলো অনেক সময় পায়ে পর্যন্ত মেহেন্দী দিয়ে থাকেন।সেটা কোনক্রমেই বরদাস্ত করা যায় না। কারণ, নবী(সাঃ) মেহেন্দী তার দাড়ি মোবারকে ব্যবহার করতেন। এখন ঐ মেহেন্দী যদি বাম হাতে বা পায়ে ব্যবহার করা হয় তবে তা অবমাননাকর। কোন নবীর প্রেমিক তা করতে পারেন না। কারণ আল্লাহ পাক কোরআন শরীফে বলেছেন, আল্লাহকে ভালোবাসতে হলে নবীকে ভালো বাসতে হবে। আল্লাহ সবাইকে হেদায়েত দান করুন। আমিন। বে-হুমমাতে ছাইয়েদুল মুরছালীন।

